দূষিত পানি
মানুষ এবং বাস্তুতন্ত্রের জন্য জলের সুবিধাগুলি সর্বাধিক করা এবং পানির ধ্বংসাত্মক প্রভাবের ঝুঁকি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে সীমিত করা পানির নিরাপত্তার লক্ষ্য।
পানির ধ্বংসাত্মক প্রভাবের ঝুঁকি গুলা হলঃ
১) বন্যা :নদী বা সমুদ্রের মতো জলাশয়গুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে বন্যা দেখা দিতে পারে, এছাড়া অধিক বৃষ্টিপাত ,বাঁধভেঙে বন্যা হতে পারে।
২)খরা:সাধারণত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলগুলোতে দীর্ঘকালীন শুষ্ক আবহাওয়া, অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত এবং বাষ্পীভবন ও প্রস্বেদনের পরিমাণ বৃষ্টিপাতের চেয়ে বেশি হলে খরা অবস্থার সৃষ্টি হয়।এক কথায় পানির অভাবে খরা হয়।
বন্যা
খরা
পানির নিরাপত্তার কিছু উপাদান রয়েছে। যেমন :
১.প্রাপ্যতা (Availability) : মানুষ, কৃষি এবং বাস্তুতন্ত্রের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া উচিত বা পর্যাপ্ত পানি প্রাপ্য। এতে ভুপৃষ্ঠের এবং ভূগর্ভস্থের পানি অন্তর্ভুক্ত।
২.অ্যাক্সেস যোগ্য (Access) :বাড়ি বা এলাকা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্বের মধ্যে পরিষ্কার এবং নিরাপদ পানির প্রবেশযোগ্যতা থাকতে হবে। এবং এটা যথাসম্ভব সামর্থ্যের মধ্যে রাখতে হবে, যাতে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য এটা প্রবেশযোগ্য হয়।
৩.নির্ভর যোগ্যতা (Reliability) : প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমন বন্যা খরা ইত্যাদি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা সহ্য করার জন্য পানি সরবরাহর ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। এক্ষেত্রে উন্নত পাইপলাইন স্থাপন এর পাশাপাশি পানি সংরক্ষণের পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪.গণ্যমান (quality) :মানুষের স্বাস্থ্য,বস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য পানির গুণ্যমান বা গুণগত মান বজায় রাখা অপরিহার্য। পানির বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য রোগ জীবাণু, অন্যান্য দূষক গুলি পর্যবেক্ষণ করা এবং নিয়ন্ত্রণ করা পানির গণ্যমান এর একটি অংশ।
৫.ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (Resilience) : পানির নিরাপত্তার জন্য বন্যা, খরা,পানিবাহিত রোগ এবং পানি সংঘাতের মতো পানি সম্পর্কিত ঝুঁকি মানিয়ে নেওয়ার জন্য বা সহনশীল অবস্থা তৈরির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে সতর্কতা ব্যবস্থা, অবকাঠামো উন্নয়ন, ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা এবং জরুরী প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
৬.টেকসই ( Sustainability) :পানির সম্পদের ক্ষতি এবং পরিবেশগত ক্ষতি এড়াতে পানির ব্যবহারে টেকসই হওয়া উচিত। দক্ষ পানি ব্যবহারের অনুশীলন,বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ এবং পানির সম্পদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি টেকসই ব্যবস্থাপনা এর ভিতর অন্তর্ভুক্ত।
৭.শাসন (Resilience) : কার্যকর শাসন কাঠামো এবং নীতিগুলি ন্যায়সঙ্গত এবং দক্ষতার সাথে পানি সম্পদ পরিচালনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে পানির সুষ্ঠু বন্টন এবং টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার, সম্প্রদায়, এবং এনজিও সহ বিভিন্ন টেকসই স্টেকহোল্ডাররা সাহায্য করবে।
নিরাপদ পানি
উন্নত পাইপ লাইন
পানির নিরাপত্তা অর্জন একটি জটিল এবং বহুমুখী চ্যালেঞ্জ যার জন্য প্রয়োজন অদম্য ইচ্ছা শক্তি, পণ্য, সেক্টর, সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প ও বিনিয়োগ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ন, শিল্পায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানি সম্পদ হুমকির মধ্যে পড়েছে। টেকশই উন্নয়ন এবং মানব কল্যাণের জন্য পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন অতীব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
পানির অভাবে খরা
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির সম্পদ বিভিন্ন হুমকির মধ্যে পড়েছে যেমন সমৃদ্ধির সমস্যা, বন্যা, সমৃদ্ধির সংকট, আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতিহীনতা। এবং পানির অধিক অনুপাতে সমৃদ্ধির ব্যবধান এবং সমৃদ্ধির তারকা সমস্যা প্রভাবিত হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পানির নিরাপত্তায় বিভিন্ন সমস্যা এসেছে যেমন পানির অধিক অদৃশ্যতা, জলাশয় এর স্তরের পরিবর্তন, পানির মাত্রার ভর বেগের নিরাপত্তার ক্ষতি হয়েছে, পানি দূষণ বৃদ্ধি, বন্যা এবং পানির মৌসুমগত অমিল। যা খাদ্য ও পানি সংকটে প্রভাব ফেলে চলেছে।
জলবায়ু বিষয় নিয়ে বাংলা কন্টেন্ট পেয়ে খুবই আনন্দিত । ধন্যবাদ ব্রাইটাসকে এত দারুণ উদ্যোগ নেওয়ায় ।