নিরাপদ পানি

নিরাপদ পানি

পানি নিরাপত্তা বা জল নিরাপত্তা বলতে পানি বা জল ব্যবহারের ঝুঁকি সীমার মধ্যে থাকা অবস্থায় খাদ্য, জীবিকা এবং প্রজননের জন্য গ্রহণযোগ্য গুণমান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির নির্ভরযোগ্য প্রাপ্যতা বা লভ্যতা বুঝায়।

পানি নিরাপদ বিশ্ব ছাড়া স্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব নয়। মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং মানব সভ্যতার উন্নয়নের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করাটাই হলো পানি নিরাপদ বিশ্বের মূলমন্ত্র। পানি নিরাপদ বিশ্বের আরও একটি উদ্দেশ্য হলো, পানির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এর বিধ্বংসী ক্ষমতার অপসারণ। এছাড়া পানি নিরাপত্তা বলতে পরিবেশ সংরক্ষণ করা এবং দুর্বল পরিবেশ ব্যবস্থাপনার নেতিবাচক প্রভাবগুলো চিহ্নিত করাকেও বুঝানো হয়। আর্থিক ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনায়ন, কৃষি, শক্তি (উৎপাদন), পর্যটন, শিল্প, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোতে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়ার ধারণাও পানি নিরাপত্তার মধ্যে পড়ে। পানি নিরাপদ বিশ্বে দারিদ্র্য বিমোচিত হয়, শিক্ষা অগ্রগামী হয় এবং জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন ঘটে। সবার জন্য উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা রয়েছে পানি নিরাপদ বিশ্বে; বিশেষ করে নারী এবং শিশুর, পানির উপযুক্ত পরিচর্যার কারণে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় তারা।

Placeholder image

পানি জীবনের প্রতিটি দিককে চালনা করে। এটি মৌলিক স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতার জন্য অপরিহার্য, এবং এটি সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প: কৃষি, শক্তি, এবং পরিবহনকে চালনা করে। পানির নিরাপত্তা না থাকলে জাতীয় নিরাপত্তা হতে পারে না। বাস্তবে, পৃথিবীর প্রতিটি দেশের স্থিতিশীলতার জন্য পানি প্রয়োজন। 

জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবর্তনশীলতার সাথে ওঠানামা করে বৃষ্টিপাতের ধরণ এবং চরম তাপমাত্রা, সংক্ষিপ্ত বর্ষাকাল এবং দীর্ঘ শুষ্ক ঋতু তৈরি করে। এই পরিবর্তনগুলি জীবন এবং জীবিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। পানির সরবরাহ কমে যাওয়া মানে আরও বেশি মানুষের দুর্ভোগ এবং অস্থিরতা, সহিংস সংঘর্ষ এবং অভিবাসনের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। প্রায়শই পরিবেশগত পরিবর্তন দ্বারা সবচেয়ে গভীরভাবে প্রভাবিত এলাকাগুলি ইতিমধ্যেই দরিদ্র, এবং সঠিক জল ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থানগুলির অভাবে রয়েছে। মানবজীবন পানির উপর নির্ভরশীল। স্বাস্থ্য, জীবিকা, উৎপাদনশীল অর্থনীতি, ইকোসিস্টেম, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সহ মানুষের অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলোর সুরক্ষার জন্য নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।

Placeholder image

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে (২০২৩) উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত ৪০ বছরে পৃথিবীতে ১ শতাংশ হারে মিঠা পানি ব্যবহারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্বাভাবিক চাপ তৈরি হয়েছে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর।বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাব (২০২২) অনুযায়ী, উত্তর আমেরিকা ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি পানি উত্তোলন করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন যে পৃথিবীতে মিঠা পানি ব্যবহারের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি শতকের মাঝামাঝি চাপ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন সংস্থার করা জরিপে দেখা যাচ্ছে, এখনই পৃথিবীর বহু জায়গায় তৈরি হয়েছে চরম পানিসংকট।বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বাস্তবতায় দেশের মধ্যে কিংবা বিদেশের সঙ্গে মিলেমিশে পানি সংরক্ষণের ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। পানি সমস্যাকে কেন্দ্র করে অতীতে অনেক সংঘর্ষ হয়েছে। আগামী দিনে এই সংঘর্ষ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।এই বাস্তবতায় এবারের (২২ মার্চ ২০২৪) বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য করা হয়েছে, ‘শান্তির জন্য পানি”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের যৌথ প্রতিবেদনে (২০২৩) উঠে এসেছে, ২০২২ সালে পৃথিবীতে ২২০ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পান করতে পারেনি। এর মধ্যে ১১ কোটি মানুষ ভূপৃষ্ঠস্থ বিভিন্ন উৎস থেকে পানি পান করতে বাধ্য হয়েছে।বর্তমানে প্রায় ২৫ শতাংশ কৃষিজমিতে প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এই না পাওয়ার কারণ যতটা না পানিচক্রকেন্দ্রিক (বৃষ্টিপাত, ভূপৃষ্ঠস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানি, নিষ্কাশন ইত্যাদি), তার চেয়ে বেশি হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর অনেক জায়গায় অবকাঠামোগত দুর্বলতার জন্য কৃষিজমিতে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ভূমি ও পানি বিভাগের পরিচালক ড. লিফেং লি বলেছেন (২০২৩), ‘পানি ঘাটতির অর্থ হচ্ছে কৃষি উৎপাদনের জন্য কম পানি পাওয়া। চূড়ান্তভাবে তার অভিঘাত তৈরি হয় খাদ্য উৎপাদনে। এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি হুমকির মধ্যে পড়ে।’ তাঁর কথায়, ‘২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৯০০ কোটি। সীমিত পানিসম্পদের মধ্যেই তখন আরো বেশি খাদ্য উৎপাদনের প্রয়োজন হবে।’পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশেই এখন পানিদূষণ ঘটছে। শিল্প থেকে বিপজ্জনক রাসায়নিক গিয়ে পড়ছে পানির মধ্যে। কৃষিজমি থেকে আসা পানিসহ বর্জ্য পানির কারণেই বেশি করে পানিদূষণ ঘটছে। মাইক্রোপ্লাস্টিকস, ফার্মাসিউটিক্যালসসহ নতুন নতুন দূষণকারী বস্তু পানির জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর প্রায় ৮০ শতাংশ বর্জ্য পানি কোনো রকম বিশুদ্ধকরণ ছাড়াই জলাশয়ে গিয়ে পড়ছে। সিডিপির (কার্বন ডিসক্লোজার প্রজেক্ট) করা এক প্রতিবেদেনে (২০২১) বলা হয়েছে, পৃথিবীর ৪০ শতাংশেরও বেশি কোম্পানি তাদের বর্জ্য পানি পরীক্ষা করে না। মাত্র ১২ শতাংশ কোম্পানি বর্জ্য পানির দূষণমাত্রা নির্ধারণ করে এবং ৫ শতাংশেরও কম  কোম্পানি সাফল্যের সঙ্গে দূষণ রোধ করতে সক্ষম হয়েছে।জাতিসংঘের একটি হিসাব বলছে, ‘পৃথিবীতে ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে বন্যার কারণে ৬৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১৬৫ কোটি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ মানুষের। এই সময়ের মধ্যে খরায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ। আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ।’ কয়েক বছর আগের (২০১৮) করা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্ত সরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেড়ে গেলে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল (দক্ষিণ ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ) এবং আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে খরার প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে।ওপরের এই তথ্য ও পরিসংখ্যান আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে পৃথিবীতে এখন মিঠা পানির সংকট দূর করা ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।প্রভাবশালী জার্নাল নেচার (৩ আগস্ট ২০২৩) তার সম্পাদকীয়তে এ সম্পর্কে কয়েকটি সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছে। এই সম্ভাবনার মধ্যে বিশাল তারের জাল দিয়ে মেঘ বা কুয়াশা থেকে পানি সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। নেচার বলছে যে পেরু ও চিলিতে এই কৌশল ব্যবহার করে মেঘ কিংবা কুয়াশা থেকে পানি সংগ্রহ করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া ঠাণ্ডা মৌসুমের বরফ জমা করে তা শুষ্ক মৌসুমে ব্যবহার করা যেতে পারে। চীনে এই কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে বলে নেচার উল্লেখ করেছে। এ ছাড়া নোনা পানিকে ঝিল্লি-পাতন (মেমব্রেন ডিস্টিলেশন) প্রক্রিয়ায় অতি কম তাপমাত্রায় বিশুদ্ধ পানিতে রূপান্তর করার কৌশল সম্পর্কেও নেচার বলেছে।

একসময়ের পানিসম্পদে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এখন পানিসংকটে ভুগছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে দেশের অনেক জায়গায় পানিস্বল্পতা দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় ভূপৃষ্ঠস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানির গুণগত মানও ভালো নয় বলে জানা গেছে। প্রধানত গৃহস্থালি ও শিল্প-কারখানার বর্জ্যগুলো এবং কৃষিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ও বিষের কারণেই পানিদূষণ ঘটছে।বাংলাদেশে এখন প্রায় ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয়, যার ৭৩ শতাংশ পানি নিয়ে আসা হয় ভূগর্ভ থেকে। ফলে দেশের অনেক জায়গায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ও বিদেশের কয়েকজন বিজ্ঞানী এক যৌথ প্রকাশনায় (নেচার, ২৭ অক্টোবর ২০২২) বলেছেন, অত্যধিক সেচ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের ভূগর্ভস্থ মজুদ পানি কমে আসছে। তাঁদের মতে, বাংলাদেশের পানি নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন নিবিড় গবেষণা। পানি ব্যবহার, পানির গুণগত মান, প্রবাহ এবং পূর্বাভাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য পানি নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একান্তভাবে প্রয়োজন।

ব্র্যাক ও ওয়াটারেইড বাংলাদেশের আয়োজনে ও প্রথম আলোর সহযোগিতায় “ভবিষ্যতের পানি সুরক্ষা বরেন্দ্র অঞ্চলের সহনশীলতা বৃদ্ধি “শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা। রাজধানীর গুলশানের ক্রাউন প্লাজায় ১৮মার্চ,২০২৪ এই গোলটেবিল বৈঠক আয়োজিত হয়।

১৮ মার্চ,২০২৪ রাজধানীর গুলশানের ক্রাউন প্লাজায় ব্র্যাক ও ওয়াটার এইউ বাংলাদেশ এর আয়োজনে ও প্রথম আলোর সহযোগিতায় “ভবিষ্যতের পানি সুরক্ষা বরেন্দ্র অঞ্চলের সহনশীলতা বৃদ্ধি” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনায় আলোচকরা বাংলাদেশ এর বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রকল্পের সমস্যা গুলোর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন ও এর সমাধান নিয়ে মতামত প্রদান করেন । আলোচকদের মধ্যে  ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহানের মতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বলতে আমরা শুধু উপকূলীয় অঞ্চলের কথা বুঝে থাকি , কিন্তু বরেন্দ্র অঞ্চল সহ অন্যান্য এলাকার সমস্যার কথা তেমন আলোচিত হয়না,যা খুবই দুঃখজনক। তাদের মতে বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রকল্প কেবল পানি উত্তোলন এর মাধ্যমেই আমাদের বিপদে ফেলছে না, কীটনাশক ব্যবহার করে পানির উৎসকেও দূষিত করছে।এই এলাকার মেয়েরা ও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীরা পানির অভাবে রয়েছে।

এসডিজি -৬ মতে,২০৩০ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ মানুষের কাছে নিরাপদ পানি পৌঁছে দিতে হবে। কিন্তু দেশের ৯৮-৯৯ শতাংশ মানুষ সাধারণ ভাবে পানির সুবিধা পেলেও গুনগত ভাবে সম্পূর্ণ নিরাপদ পানি এখনও সবার জন্য নিশ্চিত করা যায়নি। পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে,যা একটি সমস্যা, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পানির চাহিদা বেশি, অপরিমিত পানি শোধনাগার, লবনাক্ততা, আর্সেনিক ইত্যাদি এসডিজি -৬ এর লক্ষ্য পূরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্ব পানি দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে WHO বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি বর্ধন জঃ রানা বলেন, “বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এখনো নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন থেকে বঞ্চিত।এ সমস্যা সমাধানে যার যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ব্যাপারে WHO বাংলাদেশ এর প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।” বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। সম্মেলনে এ কথা বলেন বাংলাদেশ UNICEF এর উপপ্রধিনি এমা ব্রিগহ্যাম। তিনি বলেন, “ বাংলাদেশে পানির জন্য ৯৮শতাংশ ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভর করতে হয় ।তাই সমন্বিত ভাবে উদ্যোগের মাধ্যমে এই ব্যবস্থাপনায় কাজ করতে হবে।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো 

               উইকিপিডিয়া 

               USAID 

                UNICEF

                 কালের কণ্ঠ 

                 বিডি নিউজ 

                 দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড 

                 ইন্টারনেট 

শেয়ার করুন..
0 0 votes
Article Rating
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments