ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয়:

১)বিপদসংকেত পাওয়া মাত্রই সবাইকে নিয়ে এলাকার নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্রে গমন করুন।দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্দেশনা মেনে চলুন।
২)ঘূর্ণিঝড়ের সময় কোনভাবে কাঁচা ঘরবাড়ি অথবা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে থাকবেন না।
৩)ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে অবশ্যই বাড়ির বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মেইন সুইচ বন্ধ করে যাবেন।
৪)কয়েকদিনের জন্য ঔষধ, খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিন।
৫)পানি ফুটিয়ে বা ভালো ফিল্টার করে খেতে হবে।
৬)খোলা স্থানে না থেকে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিন এবং বাড়ির গৃহপালিত প্রাণীদের বাধন খুলে উঁচু স্থানে রাখুন।
৭)শক্ত গাছের সাথে কয়েক গোছা মোটা শক্ত রশি বেঁধে রাখুন বা রশি ধরে এর সঙ্গে নিজেকে বেঁধে রাখুন যাতে ঝড়/জলোচ্ছ্বাসে ভেসে না যান।
৮)রেডিও টেলিভিশনে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর ঝড়ের খবর শুনুন।
৯)ভেঙে পড়া বৈদ্যুতিক তার অথবা খুঁটিতে হাত দিবেন না এবং বাড়ির বাইরে চলাচলে বৈদ্যুতিক খাম্বা ও তার থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।
১০)দরজা -জানালা বন্ধ রাখুন অযথা ঘর থেকে বের হবেন না।
১১)দলিল বা টাকা পলিথিনে মুড়িয়ে পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখুন।
১২)SMS এ কথা বলুন, নেটওয়ার্ক বজায় রাখুন।

সতর্কতা সংকেত অর্থ
১ -দূরবর্তী সতর্ক সংকেত,
২ -দূরবর্তী সতর্ক সংকেত
৩ -স্থানীয় সতর্ক সংকেত
৪ -স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত
৫,৬,৭ -বিপদ সংকেত
৮,৯,১০ -মহাবিপদ সংকেত
১১ -ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
এক পতাকায় ৪ নম্বর বিপদ সংকেত, দুই পতাকায় ৫,৬,৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং তিন পতাকায় ৮,৯ এবং ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বোঝানো হয়।
Researcher: Aniruddha Somadder